সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

Brais Seara/Moment via Getty Images

জেগে থাকুন!

প্রচণ্ড খরা—এই সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

প্রচণ্ড খরা—এই সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?
  •   “চীন তার রিপোর্টে জানিয়েছে যে, রেকর্ড করা ‘সাংঘাতিক’ গরম হাওয়ার স্রোত এবং তাদের ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার গরমকালে শুষ্ক আবহাওয়া ছিল।”—দ্যা গার্ডিয়ান, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২.

  •   “গ্রেটার হর্ন অফ আফ্রিকাতে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত খরা হওয়ার পূর্বাভাস করা হয়েছে।”—ইউএন নিউজ, আগস্ট ৭, ২০২২.

  •   “ইউরোপের তিন ভাগের মধ্যে দুই ভাগ এলাকায় খরা হওয়ার সতর্কতা জারি করা হচ্ছে আর এটা বিগত ৫০০ বছরের ইতিহাসে আগে কখনো হয়নি।”—বিবিসি নিউজ, আগস্ট ২৩, ২০২২.

 অনেক বিশেষজ্ঞ অনুমান করেছে যে, এই ধরনের খরা চলতে থাকবে এবং আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছাবে। এক উত্তম ভবিষ্যতের কি কোনো আশা রয়েছে? বাইবেল কী বলে?

খরা এবং বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী

 আমাদের দিন সম্বন্ধে বাইবেল ভবিষ্যদ্‌বাণী করে:

  •   “একের-পর-এক স্থানে খাদ্যের অভাব … দেখা দেবে।”লূক ২১:১১.

 প্রায়ই খরার পর খাবারের অভাব দেখা যায়। খাবারের এই অভাব আর এর ফলে ঘটা কষ্ট ও মৃত্যু, বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী পূর্ণ করে।—প্রকাশিত বাক্য ৬:৬,.

যে-কারণে খরা আরও সাংঘাতিক হয়ে উঠছে

 খরাগুলো আরও সাংঘাতিক হয়ে ওঠার মূল কারণ সম্বন্ধে বাইবেল জানায়। এটি বলে:

  •   “মনুষ্যের পথ তাহার বশে নয়, মনুষ্য চলিতে চলিতে আপন পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।”যিরমিয় ১০:২৩.

 এর মানে হল, মানুষ অথবা সরকারগুলো সফলভাবে তাদের “পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।” সরকারগুলোর ভুল ব্যবস্থাপনার ফলে প্রায়ই খরা এবং জলের অভাব দেখা দেয়।

  •   বেশিরভাগ বিজ্ঞানী এই বিষয়ে একমত হন যে, মানুষের কাজকর্মের কারণেই বিশ্ব উষ্ণায়ণ হয়েছে আর এর ফলে বিশ্বব্যাপী খরা বেড়ে গিয়েছে।

  •   লোভ এবং অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনাগুলো বনাঞ্চল ধ্বংস, পরিবেশ দূষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহারের দিকে পরিচালিত করেছে, যা জলের মূল্যবান উৎসগুলোকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

 কিন্তু, বাইবেল আশা প্রদান করে।

ভবিষ্যতের জন্য কি কোনো আশা রয়েছে?

 বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে যে, ঈশ্বর জল সংক্রান্ত এই বর্তমান সমস্যার সমাধান করবেন। কীভাবে?

  1.  ১. “যারা পৃথিবীকে ধ্বংস করছে,” ঈশ্বর “তাদের ধ্বংস” করবেন। (প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮) দুষ্ট, লোভী লোকেরা হল জলাভাবের একটা কারণ যাদের কাজের ফলে আবহাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর ঈশ্বর তাদের সরিয়ে দেবেন।—২ তীমথিয় ৩:১, ২.

  2.  ২. “মরীচিকা জলাশয় হইয়া যাইবে।” (যিশাইয় ৩৫:১, ৬, ৭) খরার ফলে হওয়া ক্ষতিগুলো ঈশ্বর পূরণ করে দেবেন আর এই গ্রহটাকে জল সমৃদ্ধ পরমদেশে পরিণত করবেন।

  3.  ৩. “তুমি পৃথিবীর তত্ত্বাবধান করিতেছ, উহাতে জল সেচন করিতেছ, উহা অতিশয় ধনাঢ্য করিতেছ।” (গীতসংহিতা ৬৫:৯) ঈশ্বরের আশীর্বাদে, পৃথিবীতে ভালো ভালো খাবার এবং বিশুদ্ধ জলের প্রাচুর্য থাকবে।