সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কীভাবে আমি ভুল লোকেদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া এড়াতে পারি?

কীভাবে আমি ভুল লোকেদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া এড়াতে পারি?

যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . .

কীভাবে আমি ভুল লোকেদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া এড়াতে পারি?

“আমি স্কুলে একটা মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা করতে শুরু করেছিলাম। . . . সে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করত না, উদ্দাম পার্টিতে যেত না কিংবা বাছবিচারহীনভাবে যৌনসম্পর্ক করত না। এমনকি সে কখনো গালিগালাজও করত না এবং সে সবসময় পরীক্ষায় এ গ্রেড পেত। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই সে এক কুসংসর্গ ছিল।”—বেভারলি। *

কেন বেভারলি ওপরে উল্লেখিত এই উপসংহারে পৌঁছেছিল? সে এখন বুঝতে পারছে যে, এই মেয়েটি ক্ষতিকর প্রবণতাগুলোতে জড়ানোর ব্যাপারে তাকে প্রভাবিত করেছিল। “তার সঙ্গে ক্রমাগত মেলামেশা শুরু করার ফলে,” বেভারলি ব্যাখ্যা করে, “আমি প্রেতচর্চা সংক্রান্ত বইপত্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলাম আর এমনকি এই বিষয়ের ওপর একটা গল্পও লিখে ফেলেছিলাম।”

এ ছাড়া, মিলানি নামের এক মেয়েও অসংগত আচরণ করতে প্ররোচিত হয়েছিল—আর তা এমন একজনের দ্বারা, যে নিজেকে একজন সহখ্রিস্টান হিসেবে দাবি করে! তুমি কীভাবে জানতে পারবে যে, কোনো একজন ব্যক্তি আদৌ এক গঠনমূলক সঙ্গী কি না? অবিশ্বাসীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করা কি সবসময়ই বিপদজনক? সহখ্রিস্টানদের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব কি সবসময় নিরাপদ?

নির্দিষ্টভাবে বললে, বিপরীত লিঙ্গের একজন সদস্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার বিষয়ে কী বলা যায়? তুমি যদি সম্ভাব্য বিবাহ সাথি খুঁজে থাকো, তা হলে কীভাবে তুমি জানতে পারবে যে, আদৌ সেই সম্পর্ক গঠনমূলক কি না? এসো আমরা দেখি যে, বাইবেলের কয়েকটা নীতি কীভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে সাহায্য করতে পারে।

কোন ধরনের বন্ধুরা ভাল?

বেভারলির সহপাঠী সত্য ঈশ্বরের একজন উপাসক ছিল না বলেই কি বেভারলি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে ইতস্তত বোধ করেছিল? এটা স্বীকার করতেই হবে যে, সত্য খ্রিস্টানরা এইরকম মনে করে না যে, কোনো ছেলে বা মেয়ে একজন সহবিশ্বাসী নয় বলে সে অভদ্র বা অসচ্চরিত্রের। কিন্তু ঘনিষ্ঠ বন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়ার কারণ রয়েছে। প্রেরিত পৌল প্রথম শতাব্দীর করিন্থীয় মণ্ডলীকে সাবধান করেছিলেন: “অসৎ সঙ্গ সচ্চরিত্র নষ্ট করে।” (১ করিন্থীয় ১৫:৩৩, বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন) তিনি আসলে কী বুঝিয়েছিলেন?

খুব সম্ভবত সেই করিন্থীয় খ্রিস্টানদের মধ্যে কিছু জন ইপিকুরেয়দের সঙ্গে মেলামেশা করছিল, যারা ছিল গ্রিক দার্শনিক ইপিকুরাসের অনুসারী। সেই সময় ইপিকুরাস তার অনুসারীদের উত্তম বিচার, সাহস, ইন্দ্রিয়দমন এবং ন্যায়বিচার অনুযায়ী জীবনযাপন করতে শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি এমনকি গোপনে অন্যায় করতে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। তা হলে কেন পৌল ইপিকুরেয়দের ও এমনকি মণ্ডলীর মধ্যে যারা একইরকম ধারণা পোষণ করছিল, তাদেরকে “কুসংসর্গ” হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন?

ইপিকুরেয়রা সত্য ঈশ্বরের উপাসক ছিল না। যেহেতু তারা মৃতদের পুনরুত্থানে বিশ্বাস করত না, তাই তাদের কাছে বর্তমান জীবন সর্বোত্তমভাবে উপভোগ করাই ছিল মূল বিষয়। (প্রেরিত ১৭:১৮, ১৯, ৩২) অতএব, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, এই ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশা করার কারণে করিন্থ মণ্ডলীর কেউ কেউ পুনরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস হারাতে শুরু করেছিল। সেইজন্য ১ করিন্থীয় ১৫ অধ্যায়—যেখানে আমরা কুসংসর্গের বিরুদ্ধে পৌলের সাবধানবাণী পাই—সেই সমস্ত যুক্তিতর্কে পরিপূর্ণ, যেগুলো প্রাথমিক খ্রিস্টানদের পুনরুত্থানের আশার বাস্তবতা সম্বন্ধে পুনরায় দৃঢ়প্রত্যয়ী করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

মূল বিষয়টা কী? এমনকি অধার্মিক ব্যক্তিরাও হয়তো উত্তম গুণাবলি প্রদর্শন করতে পারে। কিন্তু তুমি যদি তাদেরকে তোমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বেছে নাও, তা হলে তোমার চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস ও আচরণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই, করিন্থীয়দের প্রতি তার দ্বিতীয় পত্রে পৌল বলেছিলেন: “তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে যোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না।”—২ করিন্থীয় ৬:১৪-১৮.

ষোলো বছর বয়সি ফ্রেড, পৌলের কথাগুলোর পিছনে যে-প্রজ্ঞা রয়েছে, তা শিখেছে। সে প্রথমে স্কুলের পাঠ্যসূচির অতিরিক্ত একটা কার্যক্রমে যোগ দিতে রাজি হয়েছিল, যা করার জন্য তাকে এক উন্নয়নশীল দেশে গিয়ে সেখানকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষা গ্রহণে সাহায্য করতে হতো। কিন্তু, সে ও তার সহপাঠীরা যখন সেখানে যাওয়ার জন্য একত্রে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ফ্রেড তার সিদ্ধান্ত পালটায়। সে বলেছিল: “আমি দেখতে পেয়েছিলাম যে, তাদের সঙ্গে অনেকখানি সময় কাটানো আমার আধ্যাত্মিকতার জন্য ভাল কিছু করবে না।” এই কারণে ফ্রেড সেই প্রকল্প থেকে সরে আসা এবং সুযোগসুবিধা বঞ্চিত লোকেদের অন্যভাবে সাহায্য করা বেছে নিয়েছিল।

সহখ্রিস্টানদের মধ্যে বন্ধুত্ব

কিন্তু খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর ভিতরে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার সম্বন্ধে কী বলা যায়? যুবক তীমথিয়কে লেখার সময় পৌল সাবধান করেছিলেন: “কোন বৃহৎ বাটীতে কেবল স্বর্ণের ও রৌপ্যের পাত্র নয়, কাষ্ঠের ও মৃত্তিকার পাত্রও থাকে; তাহার কতকগুলি সমাদরের, কতকগুলি অনাদরের পাত্র। অতএব যদি কেহ আপনাকে এই সকল হইতে শুচি করে, তবে সে সমাদরের পাত্র, পবিত্রীকৃত, কর্ত্তার কার্য্যের উপযোগী, সমস্ত সৎক্রিয়ার নিমিত্ত প্রস্তুত হইবে।” (২ তীমথিয় ২:২০, ২১) তাই, পৌল এই বাস্তবতাকে হালকাভাবে নেননি যে, এমনকি খ্রিস্টানদের মধ্যেও এমন কেউ কেউ থাকবে, যারা সমাদরের সঙ্গে আচরণ করে না। আর এই বিষয়ে তীমথিয়কে পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি খুবই খোলাখুলি ছিলেন, যাতে এই ধরনের ব্যক্তিদের থেকে তীমথিয় নিজেকে শুচি করেন।

তার মানে কি এই যে, সহখ্রিস্টানদের প্রতি তোমার সন্দেহ করা উচিত? না। কিংবা তার মানে এও নয় যে, বন্ধুদের কাছ থেকে তোমার সিদ্ধতা আশা করা উচিত। (উপদেশক ৭:১৬-১৮) কিন্তু, একজন যুবক বা যুবতী খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যোগদান করলেই বা তার বাবামা মণ্ডলীতে উদ্যোগী সদস্য হলেই বোঝায় না যে, তাকে তোমার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বেছে নেওয়া উত্তম।

“বালকও [বা বালিকাও] কার্য্য দ্বারা আপন পরিচয় দেয়, তাহার কর্ম্ম বিশুদ্ধ ও সরল কি না, জানায়,” হিতোপদেশ ২০:১১ পদ বলে। তাই, তুমি এই বিষয়টা বিবেচনা করে বিজ্ঞতার পরিচয় দাও: যিহোবার সঙ্গে এই ব্যক্তির সম্পর্কই কি স্পষ্টত তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়? অথবা এর পরিবর্তে, তার মধ্যে কি সেই চিন্তাভাবনা ও মনোভাব রয়েছে, যা “জগতের আত্মাকে” প্রতিফলিত করে? (১ করিন্থীয় ২:১২; ইফিষীয় ২:২) তার সঙ্গে থাকা কি তোমার মধ্যে যিহোবাকে উপাসনা করার আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধি করে?

তুমি যদি তাদেরকে বন্ধু হিসেবে বেছে নাও, যাদের যিহোবা ও আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর জন্য প্রগাঢ় ভালবাসা রয়েছে, তা হলে তুমি শুধুমাত্র বিভিন্ন সমস্যাই এড়াবে না কিন্তু সেইসঙ্গে ঈশ্বরকে সেবা করার প্রচুর শক্তিও লাভ করবে। তীমথিয়কে পৌল বলেছিলেন: “যাহারা শুচি হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাহাদের সহিত ধার্ম্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুধাবন কর।”—২ তীমথিয় ২:২২.

বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে বন্ধুত্ব

তুমি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকো এবং বিয়ে করতে চাও, তা হলে তুমি কি এই বিষয়টা ভেবে দেখেছ যে, কীভাবে এই একই নীতিগুলো তোমার সঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রভাবিত করা উচিত? অনেক বিষয় তোমাকে এক ভাবী সাথির প্রতি আকৃষ্ট করতে পারে কিন্তু কোনোকিছুই ব্যক্তির আধ্যাত্মিক অবস্থার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তাই বাইবেল বার বার এমন কাউকে বিয়ে করার বিরুদ্ধে সাবধান করে দেয়, যে ‘প্রভুতে’ নয়। (১ করিন্থীয় ৭:৩৯; দ্বিতীয় বিবরণ ৭:৩, ৪; নহিমিয় ১৩:২৫) এটা ঠিক যে, যে-লোকেরা সহবিশ্বাসী নয়, তারা হয়তো দায়িত্ববান, ভদ্র এবং যত্নশীল হতে পারে। তা সত্ত্বেও, তাদের সেই প্রেরণা নেই যা তোমার মধ্যে রয়েছে, যেটা হল তুমি এই গুণগুলোর সদ্ব্যবহার করতে চাও এবং বছর গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিয়েকে স্থায়ী করতে চাও।

অন্যদিকে, যে-ব্যক্তি যিহোবার প্রতি উৎসর্গীকৃত এবং তাঁর প্রতি অনুগত সে যা কিছুই ঘটুক না কেন, স্বেচ্ছায় সেই খ্রিস্টীয় গুণাবলি গড়ে তোলে ও সেগুলোকে বজায় রাখে। সে উপলব্ধি করে যে, বাইবেল একজনের সাথিকে ভালবাসার সঙ্গে যিহোবার সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক থাকার বিষয়টাকে জড়িত করে। (ইফিষীয় ৫:২৮, ৩৩; ১ পিতর ৩:৭) তাই, যখন উভয় সাথিই যিহোবাকে ভালবাসে, তখন একে অন্যের প্রতি অনুগত থাকার জন্য তাদের সবচেয়ে জোরালো উদ্দীপনা থাকে।

তার মানে কি এই যে, সহবিশ্বাসীদের মধ্যে ঘটিত বিয়েগুলো সফল হওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে? না। উদাহরণস্বরূপ, তুমি যদি এমন কাউকে বিয়ে করো, যার আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর প্রতি সামান্যই আগ্রহ রয়েছে, তা হলে কী হতে পারে? এই বিধিব্যবস্থার চাপগুলো প্রতিরোধ করতে সজ্জীভূত না হওয়ায় আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল একজন ব্যক্তি খুব সম্ভবত খ্রিস্টীয় মণ্ডলী থেকে ভেসে চলে যাবে। (ফিলিপীয় ৩:১৮; ১ যোহন ২:১৯) তোমার সাথি যদি জগতের বা ‘সংসারের অশুচি বিষয়সমূহে’ পুরোপুরি ডুবে যায়, তা হলে যে-দুঃখ ও বৈবাহিক বিরোধ আসতে পারে, সেই বিষয়টা কল্পনা করো।—২ পিতর ২:২০.

বিয়ের দিকে পরিচালিত করতে পারে এমন এক সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করো: সে কি একজন আধ্যাত্মিকমনা ব্যক্তি হওয়ার প্রমাণ দেয়? সে কি খ্রিস্টীয় জীবনধারায় এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করে? বাইবেলের সত্য কি এই ব্যক্তিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে অথবা আধ্যাত্মিক বৃদ্ধির জন্য কি তার আরও সময়ের প্রয়োজন আছে? তুমি কি নিশ্চিত যে, যিহোবার প্রতি ভালবাসাই তার জীবনের প্রধান চালিকাশক্তি? সেই ব্যক্তির উত্তম খ্যাতি রয়েছে, এই বিষয়টা জানা সাহায্যকারী। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তোমাকে দৃঢ়প্রত্যয়ী হতে হবে যে, তুমি যার প্রতি আগ্রহী সে যিহোবার প্রতি একনিষ্ঠ এবং খুব সম্ভবত এক উত্তম বিবাহসঙ্গী হবে।

এ কথাও মনে রেখ যে, কেউ কেউ যারা “ভুল লোকের” প্রতি আকৃষ্ট হয়, তারা প্রথমে ভুল বিষয়গুলোর প্রতি—যেমন অনুপযুক্ত বিনোদন বা কার্যকলাপের প্রতি—আকৃষ্ট হয়ে থাকে। খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে উদাহরণযোগ্য তরুণ-তরুণীরা এই ধরনের বিষয়গুলোতে তোমার সঙ্গে যোগ দেবে না। তাই তোমার হৃদয়কে পরীক্ষা করো।

তুমি যদি বুঝতে পারো যে, তোমার হৃদয়ের শাসনের প্রয়োজন আছে, তা হলে অসহায় বোধ করো না। হৃদয়কে শাসন করা যেতে পারে। (হিতোপদেশ ২৩:১২) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হচ্ছে: তুমি আসলে কী পেতে চাও? তুমি কি যা ভাল ও যারা তা অভ্যাস করে, সেই বিষয়গুলোর প্রতি আকৃষ্ট হতে চাও? যিহোবার সাহায্যে তুমি সেই ধরনের হৃদয় গড়ে তুলতে পারো। (গীতসংহিতা ৯৭:১০) আর সদসৎ বিষয়ের বিচারণ বা ভাল-মন্দ পার্থক্য করার জন্য তোমার জ্ঞানেন্দ্রিয়কে প্রশিক্ষিত করার দ্বারা এই বিষয়টা নির্ণয় করা তোমার জন্য সহজ হবে যে, কারা তোমার জন্য ভাল, গঠনমূলক বন্ধু হবে।—ইব্রীয় ৫:১৪.

[পাদটীকা]

^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

[১৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

উত্তম বন্ধুরা এক ইতিবাচক আধ্যাত্মিক প্রভাব