সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রচ্ছদ বিষয় | যে-মিথ্যাগুলো ঈশ্বরকে একজন নিষ্ঠুর ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরে

যে-কারণে ঈশ্বরকে ভালোবাসা কঠিন বলে মনে হয়

যে-কারণে ঈশ্বরকে ভালোবাসা কঠিন বলে মনে হয়

“ ‘তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ এবং তোমার সমস্ত মন দিয়ে তোমার ঈশ্বর যিহোবাকে ভালোবাসবে।’ এটাই হল সর্বমহৎ ও প্রথম আজ্ঞা।”যিশু খ্রিস্ট, সা.কা. ৩৩ সাল *

এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের কাছে ঈশ্বরকে ভালোবাসা খুবই কঠিন বলে মনে হয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর হলেন অতি মহান, এজন্য তিনি নিজের সম্বন্ধে পুরোপুরিভাবে প্রকাশ করেন না। আর এই কারণেই তাঁকে পুরোপুরিভাবে বোঝা সম্ভব নয়। আবার অনেকে মনে করে, ঈশ্বর হলেন নিষ্ঠুর। এ বিষয়ে কিছু ব্যক্তি কী বলেছেন, তা লক্ষ্য করুন:

  • “আমি ঈশ্বরের কাছে সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করতাম ঠিকই, কিন্তু আমার মনে হত যে, তিনি আমার থেকে অনেক দূরে, আর আমার প্রার্থনা তাঁর পর্যন্ত পৌঁছায় না। আমার কাছে মনে হত, ঈশ্বরের কোনো অনুভূতিই নেই।”—মার্কো, ইতালি।

  • “যদিও আমি মন থেকে ঈশ্বরের সেবা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি তাঁর কাছাকাছি অনুভব করতে পারতাম না। আমার মনে হত, ঈশ্বর খুবই নির্দয় আর তিনি শুধু শাস্তি দেন। তিনি আমাদের ভালোবাসেন এমনটা কখনো মনেই হত না।”—রোসা, গুয়াতেমালা।

  • “ছোটোবেলায় আমি বিশ্বাস করতাম যে, ঈশ্বর সারাক্ষণ আমাদের ভুল খোঁজেন আর ভুল পেলেই শাস্তি দেন। পরবর্তীতে, আমার মনে হত যে, ঈশ্বর আমাদের জন্য কোনো চিন্তাই করেন না। আমার কাছে ঈশ্বর ছিলেন একজন প্রধানমন্ত্রীর মতো, যিনি তাঁর অধীনস্থ লোকদের চালান কিন্তু তাদের প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত কোনো আগ্রহ নেই।”—রেমন্ড, কানাডা।

আপনার কী মনে হয়? ঈশ্বরকে কি সত্যিই ভালোবাসা সম্ভব? শত শত বছর ধরে লোকেরা এই প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করে এসেছে। যেমন, ৫০০ থেকে ১৫০০ সাল পর্যন্ত বেশিরভাগ খ্রিস্টানরাই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে সরাসরি প্রার্থনা করত না। কেন? কারণ তারা ঈশ্বরকে প্রচণ্ড ভয় পেত। এ বিষয়ে ইতিহাসবিদ উইল ডুরান্ট বলেন: “ভয়াবহ এবং খুবই দূরে রয়েছেন এমন একজন ঈশ্বরের কাছে নগণ্য পাপী মানুষ প্রার্থনা করার কথা চিন্তাও করবে না।”

কেন লোকেরা এমনটা মনে করতে শুরু করে যে, ঈশ্বর হলেন “ভয়াবহ এবং খুবই দূরে রয়েছেন” এমন একজন ঈশ্বর? ঈশ্বর কি আসলেই এমন? বাইবেল তাঁর সম্বন্ধে কোন সত্য জানায়? ঈশ্বর সম্বন্ধে সত্য জানা আপনাকে তাঁকে ভালোবাসতে সাহায্য করবে।